আপনার পেটে মোচড় দিচ্ছে, বারবার টয়লেটে ছুটতে হচ্ছে আর সাথে পাতলা পায়খানা? এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিকে আমরা সাধারণত আমাশয় বলে থাকি। কিন্তু আমাশয় হলে কোন ডাক্তার দেখাবো, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। সঠিক সময়ে সঠিক ডাক্তারের কাছে না গেলে এই সাধারণ সমস্যাও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই, আমাশয় হলে কখন কার কাছে যাওয়া উচিত এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী।
আমাশয়: একটি পরিচিত কিন্তু জটিল রোগ
আমাশয় (Dysentery) হলো পরিপাকতন্ত্রের একটি সংক্রমণ, যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া (যেমন শিগেলা, সালমোনেলা) বা পরজীবী (যেমন অ্যামিবা) দ্বারা সৃষ্টি হয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো বারবার পাতলা পায়খানা, পেটে তীব্র ব্যথা, জ্বর এবং মলের সাথে রক্ত বা শ্লেষ্মা আসা। এই রোগটি বিশ্বব্যাপী একটি সাধারণ অসুস্থতা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা দুর্বল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই রোগের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আমাশয় হলে প্রাথমিকভাবে কার কাছে যাবেন?
যদি আপনার আমাশয়ের লক্ষণগুলো সবেমাত্র শুরু হয় এবং খুব বেশি তীব্র না হয়, তাহলে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে পারেন।
সাধারণ চিকিৎসক (GP/Family Physician)
আপনার এলাকার একজন সাধারণ চিকিৎসক বা ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান আমাশয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট। তারা আপনার লক্ষণগুলো শুনে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবেন এবং প্রয়োজনে কিছু সাধারণ ওষুধ দিতে পারবেন। অনেক সময় হালকা আমাশয় ঘরোয়া পরিচর্যা এবং সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সেরে যায়। তবে, যদি আপনার লক্ষণগুলো গুরুতর হয় বা উন্নতি না হয়, তাহলে তারা আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স
গ্রামাঞ্চলে বা যেসব এলাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব রয়েছে, সেখানে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী বা প্রশিক্ষিত নার্সদের কাছেও প্রাথমিক পরামর্শ ও ওষুধ পাওয়া যায়। তারা জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক সহায়তা দিতে সক্ষম এবং কখন একজন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারেন।
কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি?
আমাশয়ের লক্ষণগুলো যদি গুরুতর আকার ধারণ করে বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট (পেটের রোগ বিশেষজ্ঞ)
যদি আপনার আমাশয় দীর্ঘস্থায়ী হয়, মলের সাথে রক্ত আসে, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, জ্বর থাকে বা শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তাহলে দেরি না করে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের (Gastroenterologist) শরণাপন্ন হওয়া উচিত। তিনি পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় পারদর্শী। তিনি আপনার অবস্থা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন, স্টুল টেস্ট, রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে পারবেন এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। অ্যাপোলো হসপিটালস-এর তথ্য অনুযায়ী, আমাশয় হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে।
ইনফেকশন ডিজিজ বিশেষজ্ঞ
কিছু ক্ষেত্রে আমাশয় ইনফেকশনের কারণে হয় যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। যদি আপনার অবস্থা দ্রুত খারাপ হয় বা প্রচলিত চিকিৎসায় সাড়া না দেয়, তাহলে ইনফেকশন ডিজিজ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তারা সংক্রমণের ধরন এবং তীব্রতা অনুযায়ী সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল চিকিৎসা নির্ধারণ করতে পারেন।
শিশুদের আমাশয় হলে কোন ডাক্তার দেখাবেন?
শিশুদের ক্ষেত্রে আমাশয় অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ তাদের শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
শিশু বিশেষজ্ঞ (Pediatrician)
শিশুদের আমাশয় হলে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত একজন শিশু বিশেষজ্ঞের (Pediatrician) কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। শিশু বিশেষজ্ঞরা শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তারা শিশুদের জন্য সঠিক ডোজের ওষুধ ও পরিচর্যা সম্পর্কে ভালো জানেন। শিশুদের ক্ষেত্রে দ্রুত ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আমাশয়ের চিকিৎসা পদ্ধতি
আমাশয়ের চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার ওপর।
রোগ নির্ণয়
আমাশয় নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার প্রথমে আপনার লক্ষণগুলো শুনবেন এবং শারীরিক পরীক্ষা করবেন। প্রয়োজন হলে তিনি স্টুল টেস্ট (মলের পরীক্ষা) বা রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। স্টুল টেস্টের মাধ্যমে মলে ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী বা রক্তের উপস্থিতি নির্ণয় করা যায়, যা সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণে সাহায্য করে।
ওষুধ
আমাশয়ের কারণের ওপর ভিত্তি করে ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দিতে পারেন:
* **ব্যাসিলারি আমাশয় (শিগেলা):** এই ধরনের আমাশয় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তবে, হালকা ক্ষেত্রে অনেক সময় ওষুধ ছাড়াই এটি সেরে যায়।
* **অ্যামিবিক আমাশয়:** অ্যামিবিক আমাশয়ের জন্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের ১০ দিনের কোর্স দেওয়া হয়। এই ওষুধগুলো পরজীবী ধ্বংস করে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
তরল গ্রহণ ও বিশ্রাম
আমাশয়ে শরীর থেকে প্রচুর তরল বেরিয়ে যায়, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) বা খাবার স্যালাইন এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। পাশাপাশি, শরীরকে সুস্থ হতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়াও প্রয়োজন।
প্রতিরোধ
আমাশয় প্রতিরোধের জন্য কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
* বিশুদ্ধ পানি পান করুন। ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি পান করা উচিত।
* স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। বাইরের খোলা খাবার বা বাসি খাবার পরিহার করুন।
* খাবার তৈরির আগে ও পরে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোন।
আমাশয় এবং স্যানিটেশনের সম্পর্ক
আমাশয় এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, দুর্বল স্যানিটেশন এবং অনিরাপদ পানি আমাশয় ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকাগুলোতে স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতির অভাবে আমাশয়ের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং জটিল ক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। শহুরে হাসপাতালগুলোতে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এবং ইনফেকশন ডিজিজ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আমাশয় প্রতিরোধে করণীয়
আমাশয় একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। কিছু সাধারণ অভ্যাস ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার
আমাশয়ের জীবাণু প্রায়শই দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সর্বদা নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানি পান করুন। পানি ফুটিয়ে পান করা অথবা ভালো মানের ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। বিশেষ করে ভ্রমণে বের হলে বোতলজাত পানি পান করার চেষ্টা করুন।
খাদ্য নিরাপত্তা
খাবার ভালোভাবে রান্না করুন এবং তাজা খাবার খান। বাইরের খোলা খাবার, ফাস্ট ফুড বা রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করুন। ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কাঁচা মাংস ও মাছ হ্যান্ডেল করার সময় সতর্ক থাকুন এবং অন্যান্য খাবার থেকে আলাদা রাখুন।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি আমাশয় প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* **হাত ধোয়া:** খাবার খাওয়ার আগে, খাবার তৈরির আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর এবং শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের পর সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোন।
* **শৌচাগার পরিচ্ছন্নতা:** শৌচাগার সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
* **আবর্জনা ব্যবস্থাপনা:** ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন এবং সঠিকভাবে তার নিষ্পত্তি করুন যাতে জীবাণু না ছড়ায়।
আমাশয় নিয়ে কিছু সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)
আমাশয় নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন থাকে। এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনার দ্বিধা দূর করতে সাহায্য করবে।
আমাশয় কি ছোঁয়াচে রোগ?
হ্যাঁ, আমাশয় একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি সাধারণত দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির মলের মাধ্যমে জীবাণু পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্য কেউ সেই জীবাণু দ্বারা দূষিত খাবার বা পানি গ্রহণ করলে আক্রান্ত হতে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
আমাশয় হলে কি শুধু স্যালাইন খেলেই হবে?
আমাশয় হলে শরীর থেকে প্রচুর তরল বেরিয়ে যায়, তাই পানিশূন্যতা রোধে স্যালাইন (ORS) খুবই জরুরি। স্যালাইন শরীরকে প্রয়োজনীয় লবণ ও তরল সরবরাহ করে। তবে, স্যালাইন কেবল একটি সহায়ক চিকিৎসা। রোগের কারণের ওপর ভিত্তি করে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে যদি মলের সাথে রক্ত আসে বা জ্বর থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমাশয় হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত?
আমাশয় হলে সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত। যেমন – নরম ভাত, দই, কলা, আপেল, সেদ্ধ আলু, সবজির স্যুপ। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি, ওরস্যালাইন এবং ফলের রস পান করুন। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার, এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার পরিহার করুন, কারণ এগুলো হজমে সমস্যা করতে পারে।
আমাশয় হলে কি এন্টিবায়োটিক খেতেই হবে?
সব ধরনের আমাশয়ে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। যদি ব্যাকটেরিয়াল আমাশয় (যেমন শিগেলা) হয়, তবে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে পারেন। অ্যামিবিক আমাশয়ের জন্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের প্রয়োজন হয়। তবে, যদি হালকা আমাশয় হয় এবং মলের সাথে রক্ত না আসে, তাহলে অনেক সময় শুধু তরল গ্রহণ ও বিশ্রামের মাধ্যমেই সেরে যায়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন, কারণ ভুল অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে।
আমাশয় হলে কতদিন পর্যন্ত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?
আমাশয়ের লক্ষণগুলো যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উন্নতি না হয়, মলের সাথে রক্ত আসে, তীব্র পেটে ব্যথা হয়, উচ্চ জ্বর থাকে, অথবা শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে, আমাশয়ের লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া জরুরি, কারণ শিশুরা দ্রুত পানিশূন্য হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
উপসংহার
আমাশয় একটি সাধারণ রোগ হলেও এর সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধ অত্যন্ত জরুরি। প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া গেলেও, যদি লক্ষণগুলো গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট বা শিশু বিশেষজ্ঞের মতো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে আমাশয় থেকে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে বিশুদ্ধ পানি পান করুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং কোনো রকম অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ!